সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীর সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিন!

আমি ফাতিমা নওরোজ (ছদ্মনাম), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ...।বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। আমি এখন যেমন স্বাচ্ছন্দ্য জীবন যাপন করছি আমার জার্নিটা এমন ছিলো না।

২০২০ সালে হঠাৎ একদিন স্ট্রোক করে আমার স্কুল শিক্ষক বাবা মারা যান। এরপরই আমাদের পরিবারে এক কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বাবার মৃত্যুর পর দিশেহারা হয়ে যাই আমরা। নানা প্রতিকূলতা পার করে ভর্তি হই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, পড়াশোনা, পরিবারের খরচ, ব্যক্তিগত খরচ চালাতে একাধিক টিউশন শুরু করি। সব সামলে টিউশন করা খুব কষ্টকর হয়ে যেত।

এরপর একদিন দেখি সহপাঠীরা সিজেডএম জিনিয়াস বৃত্তির জন্যে আবেদন করছে। বৃত্তি সম্পর্কে নেটে ঘাটাঘাটি করে আশ্চর্য হয়ে যাই যে একটা সংস্থা কিভাবে এতোটা সহযোগিতা করতে পারে। মনে একধরনের আশা নিয়ে আমিও আবেদন করলাম। বিভিন্ন জটিল বাছাই প্রক্রিয়া শেষে বৃত্তির জন্যে নির্বাচিত হয়ে গেলাম। এরপর থেকেই জীবনটা অন্যভাবে ঘুরে গেলো। এখন আর পড়ার জন্যে পরিবারের কারো কাছে টাকার জন্যে নির্ভরশীল হতে হয় না। টিউশনের অনেক চাপ নিতে হয় না। পড়ালেখায় অনেক মনোযোগ দিতে থাকি এবং ২য় সেমিস্টারে পুরো ডিপার্টমেন্টে ফাস্ট হই আলহামদুলিল্লাহ।

এইভাবেই আমার একাডেমিক জীবন, ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারিক জীবন সবকিছুতেই সিজেডএম-এর বৃত্তি অবদান রাখছে। কিছু বিষয় থাকে যেগুলোর অনুভূতি সম্পূর্ণ লিখে প্রকাশ করা যায় না। এখন সিজেডএম আমার দ্বিতীয় পরিবার। মহান আল্লাহর কাছে এই পরিবারের জন্য মনে প্রাণে সফলতা কামনা করি।" 

----------------------------------------------------------------------------------------------------

সিজেডএম জিনিয়াস স্কলারশিপ সম্পর্কে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন আমাদের এক শিক্ষার্থী। তার লিখাটা হুবহু তুলে ধরা হয়েছে এখানে।

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে নির্বাচিত ৮৩৩৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮,২৮৪ জনের বৃত্তির জন্য বিভিন্ন দাতামহল থেকে স্পন্সরশীপ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বাকি ৫০ জনের জন্য প্রায় ২৪ লাখ টাকার বৃত্তির জন্য সিজেডএম আপনাদের কাছ থেকে অনুদানের আহবান জানাচ্ছে।

আপনিও একজন বিপদগ্রস্ত মেধাবী শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নিতে পারেন । মাসিক মাত্র ৪০০০ টাকা অনুদানের মাধ্যমে একজন ছাত্রের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণের কারিগর হতে পারেন আপনিও।